সাম্য ক্লাব
সাম্য ক্লাব
নতুন প্রজন্মের মাঝে প্রতিদিন একটি ভালো কাজের চর্চা
“ভালো কাজের অভ্যাস গড়ে তুললেই বদলে যাবে সমাজ!”
নতুন প্রজন্মের মাঝে মানবিকতা, দায়িত্ববোধ ও সহমর্মিতার চর্চা বাড়ানোর লক্ষ্যে সংশপ্তক অ্যাসোসিয়েশন চালু করেছে “সাম্য ক্লাব”। এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতিদিন অন্তত একটি ভালো কাজ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে উৎসাহিত করা হবে শিক্ষার্থীদের।
কেন সাম্য ক্লাব?
আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের মধ্যে যদি ইতিবাচক কাজের অভ্যাস গড়ে ওঠে, তবে সমাজে একটি বড় পরিবর্তন আসতে পারে। সাম্য ক্লাবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিখবে সহানুভূতি, সামাজিক দায়িত্ববোধ ও নৈতিকতা।
আমাদের লক্ষ্য
প্রথম ধাপে লক্ষ্মীপুর জেলার ১ লক্ষ শিক্ষার্থীর মাঝে এই কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন অন্তত একটি ভালো কাজ করবে, যেমন—
✔ রাস্তায় পড়ে থাকা ইট বা কাঁচের টুকরো সরিয়ে দেওয়া
✔ বয়স্ক বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে রাস্তা পার করিয়ে দেওয়া
✔ একজন রিকশাচালক বা ভ্যানচালককে ব্রিজে উঠতে সহায়তা করা
✔ স্কুলের পরিবেশ পরিষ্কার রাখা
✔ গরিব ও সুবিধাবঞ্চিত বন্ধুদের সাহায্য করা
প্রতিদিন এই ছোট ছোট কাজগুলো তাদের চরিত্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং একদিন বড় পরিবর্তনের সূচনা করবে।
সাম্য ক্লাবের ফান্ড সংগ্রহ ও ব্যয় পরিকল্পনা
প্রত্যেক স্কুল/কলেজে “সাম্য ক্লাব বক্স” স্থাপন করা হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের টিফিনের টাকা বা বাড়তি কিছু টাকা বক্সে জমা রাখতে পারবে। প্রতি মাস শেষে পরিচালনা কমিটির উপস্থিতিতে সংগৃহীত অর্থ একটি তহবিলে জমা করা হবে।
এই অর্থ সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয় করা হবে, যেমন—
✔ স্কুল ড্রেস প্রদান
✔ ফর্ম পূরণের খরচ সহায়তা
✔ অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসায় সহায়তা
✔ খাতা-কলম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ দেওয়া
ভালো কাজের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন
যিনি সহায়তা করবেন এবং যিনি সহায়তা পাবেন—উভয়ের মধ্যেই মানবিকতা ও ভালো কাজের চর্চা গড়ে উঠবে। সাম্য ক্লাবের মাধ্যমে প্রতিবছর অনেক সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থী উপকৃত হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত তৈরি করবে।
নতুন প্রজন্মের হাত ধরেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে!
এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নৈতিকতা ও মানবিক গুণাবলিতে সমৃদ্ধ হবে। একদিন এই নতুন প্রজন্মই সমাজের অন্ধকার দূর করে আলোর পথ দেখাবে।
একটি কথা মনে রাখতে হবে—
“তোমার ছেলে উঠলে গো মা, রাত পোহাবে তবে!”
অর্থাৎ নতুন প্রজন্মের জাগরণই সমাজ পরিবর্তনের সূচনা করবে। তাই আসুন, সংশপ্তক অ্যাসোসিয়েশনের “সাম্য ক্লাব” উদ্যোগকে সফল করতে সবাই একসাথে কাজ করি!
বাণী
পালপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের স্নেহের ছোট ভাই ইমাম হোসেন (স্বপন)। আমাদের হাইস্কুল বিদ্যাক বিভিন্ন কার্যক্রমে স্বপনের সাথে ঘনিষ্ঠতা। স্বগল বেশ বিনয়ী ও পরিশ্রমী। জনসেবামূলক লে কাজের উদ্যোগ নিলে সে আমার সাথে পরামর্শ করতো। ২০১৯ মাঝামাঝি লিখন “সংশপ্তক অ্যাসোসিয়েশন’ প্রতিষ্ঠা করে তখন একদিন আমার সাথে বিষয়টি শেয়ার করে। তার উদ্যোগটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। সমাজের অবহেলিত মানুষগুলোর বাচ্চাদের পড়ালেখার উদ্যোগ গ্রহন প্রশংসনীয়। আমার ক্ষুদ্র সামর্থ্য দিয়ে তাদের সাথে থাকার প্রতিশ্রুতি দেই এবং বিভিন্ন পরামর্শ দেই। কর্মব্যস্ততার কারনে তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ না হলেও সংশপ্তক পরিবারের জন্য দোয়া এবং ভালোবাসা সবসময়ই আছে এবং থাকবে। আমি আশাকরি সংশপ্তক একদিন সমগ্র লক্ষ্মীপুর জেলার অসহায় মানুষের পক্ষে কথা বলবে এবং কাজ করে যাবে। সংশপ্তক পরিবারের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি মহৎ কাজের সন্ত্রন বাকার জন্য। সংশপ্তক পরিবারের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।।
ড. মোঃ ইমরান হোসেন সোহেল
মেডিসিন ও বঙ্গব্যাধি বিশেষজ্ঞ
আবুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নোয়াখালী।
বাণী
সংশপ্তক অ্যাসোসিয়েশন এর সাথে আমার সম্পর্ক সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই প্রতিষ্ঠানটি যেসকল সামাজিক ও মানবিক কাজগুলো করে যাচ্ছে। সেগুলো আমার আপসার সকলের কাজ। আমি আমার জায়গা থেকে সমসময় চেষ্টা করি সহযোগীতা, পরামর্শ এবং উৎসাহ দিয়ে সংগঠনটির পাশে থাকার। বিশেষ করে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ইমাম 5 হোসেন আমার খুবই প্রিয় আস্থাভাজন স্নেহের একজন মানুষ। তার নেতৃত্ব, কর্মকার্ড এবং ব্যবহার তার সাথে আমার সম্পর্ক দিনদিন গভীর করেছে। সংশপ্তক অ্যাসোসিয়েশন পরিবারের সাথে যেসকল উদ্যোগী ছেলেমেয়েরা রয়েছে তারা খুবই পরিশ্রমিী এবং দেশপ্রেমিক। বিভিন্ন কাজের কারনে তাদের সাথে মেশার সুযোগ হয়েছে আমার। আমি আশা করি এবং বিশ্বাস করি সংশপ্তক অ্যাসোসিয়েশন এমন মানবতার কাজ করে সমাজের কল্যাণে বহুদূর এগিয়ে যাবে। আমি সংশপ্তক অ্যাসোসিয়েশন এর উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করি।
জনাব আনোয়ার হোসেন
রামগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার
রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর।






