যৌতুক কে না বলি
সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করার সংকল্প
“যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি”—এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে সংশপ্তক অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তুলেছে “যৌতুককে না বলি” নামক একটি বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এর লক্ষ্য সমাজের মানুষকে যৌতুকের কুফল সম্পর্কে সচেতন করা এবং এ অনৈতিক প্রথার বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা।
যৌতুক: এক ভয়ংকর সামাজিক অভিশাপ
বর্তমানে আমাদের সমাজে বিয়ে একটি কঠিন ও ব্যয়বহুল প্রক্রিয়ায় পরিণত হয়েছে। এর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যৌতুক ও প্রতিষ্ঠিত বর খোঁজার প্রবণতা। অনেকেই মনে করেন, মেয়েকে কেবল সরকারি চাকরিজীবী বা ধনী পাত্রের সাথে বিয়ে দিলেই সে সুখী হবে—কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। সুখের মূল চাবিকাঠি পারস্পরিক বোঝাপড়া, সম্মান ও ভালোবাসা।
অনেকেই মনে করেন, যৌতুক কেবল নগদ অর্থ বা আসবাবপত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু আধুনিক সমাজে এটি আরও সুপরিকল্পিত ও কৌশলী রূপ নিয়েছে। যেমন— “কিছু না চাইলে মানুষ আরও বেশি দেয়।” “আপনারা কিছু দিলে তো আপনাদের মেয়েই পাবে। এই ধরনের কথাবার্তা ও মানসিকতার মাধ্যমে যৌতুকের প্রচলন অব্যাহত রয়েছে এবং সমাজব্যবস্থা ক্রমেই বিশৃঙ্খল হয়ে উঠছে। বিয়ের পরেও যৌতুকের বোঝা শুধু বিয়ের সময়ই নয়, বিয়ের পরও প্রতি ২-৩ মাস পর পর মেয়ের পরিবার থেকে এটাসেটা পাঠাতে হয়—এটিও এক ধরনের কুসংস্কার। এটি শুধু একটি পরিবারকে নয়, সমগ্র সমাজ ব্যবস্থাকে অশান্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
সংশপ্তক অ্যাসোসিয়েশনের ভূমিকা
সংশপ্তক অ্যাসোসিয়েশন “যৌতুককে না বলি” প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করে তুলছে এবং সমাজ থেকে কুসংস্কার ও অপসংস্কৃতি দূর করতে কাজ করছে। আমাদের লক্ষ্য—একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায়ভিত্তিক ও সুস্থ সমাজ গঠন করা, যেখানে বিয়ে হবে ভালোবাসা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করে, যৌতুকের লোভে নয় আপনিও এগিয়ে আসুন যৌতুককে না বলুন, সুস্থ সমাজ গঠনে অংশ নিন! আপনার সচেতনতা ও দৃঢ় অবস্থানই পারে সমাজ থেকে এই ব্যাধিকে নির্মূল করতে। সংশপ্তক পরিবারের পাশে থাকুন, যৌতুকের বিরুদ্ধে কণ্ঠ তুলুন!